Sujoy Ghosh
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় উদ্ভিজ্জ তেল হল পাম তেল | এই তেলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল এটি অন্যান্য তেলের সাথে ভালভাবে মিশে যায়| তাই, শুধুমাত্র ভোজ্য তেল হিসেবেই নয়, দৈনন্দিন গৃহস্থালী দ্রব্য যেমন জামাকাপড় কাচার ডিটারজেন্ট পাউডার বা সাবান, স্নানের সাবান, শ্যাম্পু থেকে লিপস্টিক, মোমবাতি এছাড়াও খাদ্যসামগ্রী যেমন, বিস্কুট, চকলেট, মার্জারিন ইত্যাদি উৎপাদনের প্রধান উপাদানগুলির মধ্যে একটি হল পাম তেল | ভোজ্য তেল এবং বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদনে পাম তেলের ব্যবহার এর জন্য, এই তেল হল বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল | পৃথিবীতে ব্যহৃত মোট উদ্ভিজ্জ তেলের ৪০% হল পাম তেল |
এই তেলের বহুবিধ ব্যবহার এর সাথে সাথে পাম হল একটি উচ্চ উত্পাদনশীল, লাভজনক তৈল শস্য বা ফসলএবং এর শ্রম নিবিড় তৈল উৎপাদন প্রক্রিয়া ভাল পরিমাণ কর্মসংস্থান ও সৃষ্টি করে | অন্যান্য তৈল শস্য বা ফসলের তুলনায়, পাম চাষ বেশি লাভজনক, এটি হেক্টর প্রতি ১0 থেকে ৪৬ গুণ বেশি তেল উৎপাদন করতে পারে, যেখানে বাকি তৈল শস্য বা ফসল থেকে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৪ টন তেল পাওয়া যায়। এই সমস্ত কারণে, পাম তেলের চাহিদাও খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে |
বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে মানুষ প্রায় ৫000 বছর আগে থেকে পাম তেল ব্যবহার করে আসছে – এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা এই ফসলটি আফ্রিকা থেকে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় প্রবর্তন করেছিলন |
আমাদের দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এর একটা বড় অংশ হলো তেলে ভাজা খাবার | বিভিন্ন রকম জনপ্রিয় ভারতীয় ভাজা নোনতা এবং মিষ্টি খাবার তৈরিতে ভোজ্য তেল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান | অন্যান্য ভোজ্য তেল যেমন সয়াবিন, সূর্যমুখী, বাদাম প্রভৃতির থেকে দামে সস্তা হওয়ার জন্য পাম তেল এর ব্যবহার ও চাহিদা অনেক বেশি |
ভারত পাম অয়েলের বিশ্বব্যাপী মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ ব্যবহার করে, বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে আমাদের দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৯ থেকে ১০ মিলিয়ন টন পাম তেল ব্যবহার হয় | এখানে উল্লেখযোগ্য যে এই প্রচুর পরিমান পাম তেল এর ব্যবহার আমাদের দেশীয় উৎপাদন এর থেকে অনেক অনেক বেশি| যেহেতু দেশীয় উৎপাদন চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়, ( ভারত বছরে গড় 0. ৭ মিলিয়ন টনেরও কম পাম তেল উৎপাদন করে) বছরে প্রায় ৯ মিলিয়ন টন পাম তেল আমদানি করতে হয় |
এই সমস্যা সমাধানের এবং পাম তেল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য ভারত সরকার একটি নতুন উদ্যোগ নিয়ে এসেছেন , যার পোশাকি নাম হলো- National Mission on Edible Oils-Oil Palm (NMEO-OP)| পাম অয়েল উৎপাদন তিনগুণের বেশি করার উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নিয়ে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রকল্পের জন্য ১১,০০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে |
এই পাম অয়েল মিশনের মূল লক্ষ্যগুলি হল,
১) ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৬.৫ লক্ষ হেক্টর এলাকা জুড়ে পাম চাষ করা ( বর্তমানে, দেশে ৩. ৭ লক্ষ হেক্টর এলাকা পাম চাষের অধীনে রয়েছে).
২) ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে অপোরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন ১১.২ লাখ টন এবং ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে আরো বৃদ্ধি করে ২ লাখ টনে উন্নীত করা।
পাম চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য, এই প্রকল্পে চাষিদের প্রয়োজনীয় কৃষি উপাদান সামগ্রী দিয়ে, কৃষি সম্পর্কিত অন্য সাহায্য এবং বাজার মূল্যের নিশ্চয়তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে|
পাম তেল সম্পর্কিত পুরো বিষয়টা এই পর্যন্ত এসে শেষ হয়ে গেলে কি সুন্দর হতো তাই না ! কিন্তু উপরোক্ত বর্ণনা শুধুমাত্র উজ্জ্বল আলোকিত দিক, যার উল্টো দিকটায় রয়েছে একটা ঘন কালো অন্ধকার দুশ্চিন্তাময় ভবিষ্যত |
প্রকৃতিগতভাবে, জৈব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ গ্রীষ্মমন্ডলীয় বা ক্রান্তীয় জলবায়ু এলকাই পাম চাষের জন্য সর্বোত্তম | পাম চাষ বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় গ্রীষ্মমন্ডলীয় বা ক্রান্তীয় বনভূমি কেটে পরিষ্কার করে সেই জমিকে পাম বাগানে রূপান্তরিত করা হয়েছে | শুধুমাত্র পাম চাষের ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধির কথা মাথা রেখে যদি ক্রান্তীয় বনভূমি কে পাম বাগানে রূপান্তরিত করা হয়, তাহলে কেবল স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতিগুলিই বিপন্ন হবেনা, স্থানীয় মনুষ্য সম্প্রদায়কেও প্রভাবিত করবে যারা তাদের জীবন ও জীবিকার জন্য বনের উপর নির্ভর করে|
আমাদের দেশে, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এক ডজনেরও বেশি রাজ্যে পাম এর চাষ হয়ে চলছে , এবং বর্তমান জাতীয় সরকার পাম অয়েল মিশনের লক্ষ্যপুরনের স্বার্থে বিশেষ করে উত্তর -পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে, আন্দামান ও সংলগ্ন দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় পাম চাষ এর আরো সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে | এই প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভালো যে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ যেখানে প্রায় ৩৫ বছর ধরে পাম চাষ হচ্ছে, অতি সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্ট এর এক রায়ে প্রায় ১,৫৯৩ হেক্টর এলাকার পাম বাগান কে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে | অন্যদিকে যদি আমরা উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের দিকে তাকাই, উত্তর-পূর্ব ভারত হল বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে জীববৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চল ( Grenyer et al ২০০৬ এর সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী) এবং আমাদের দেশের বনভূমির ২৫ শতাংশই এই অঞ্চলে অবস্থিত | সেই অঞ্চলেই কেন্দ্রীয় সরকার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পাম চাষ কে উৎসাহিত করেছে এবং সম্প্রসারিত করার চেষ্টা করছে | পাম চাষ এর ক্রমাগত সম্প্রসারণ করার জন্য এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক জমির চরিত্র এবং জমি ব্যবহার এর পদ্ধতি ও রীতিনীতি খুব দ্রুততার সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে | পাম চাষ এর জমি প্রসারণের জন্য এই অঞ্চলের বন্য উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির আবাস্থল এর ক্রমহ্রাসমানতা গুরুতর উদ্বেগের কারণ | কেন্দ্রীয় সরকারি উদ্যোগ এর সাথে সাথে, রুচি সোয়া(পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কোম্পানি দ্বারা অধিগৃহীত), গোদরেজ এগ্রোভেট এর মতো বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিরাও উত্তর-পূর্বের অরুণাচল এবং মেঘালয় রাজ্যের ক্ষুদ্র জমির কৃষকদেরকে প্রলুব্ধ করে পাম চাষ সম্প্রসারনের চেষ্টা করছে।

পাম চাষ এর ক্রমবর্ধমান প্রসারণ এর জন্য যে শুধু জৈব বৈচিত্র্য এবং জমির চরিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটবেই না, এই চাষ এর চরিত্রগত এবং পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যাও আছে যা পরিবেশ এবং আমাদের মানুষ্য সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
পাম (তেল) এর গাছ হল জল-নিবিড় ফসল তাই পাম এর গাছ ফল উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠতে নিয়মিত প্রচুর পরিমান জল এর প্রয়োজন হয়। এই চাষ এ অতিরিক্ত পরিমান জল এর প্রয়োজনীয়তার জন্য, পাম গাছ এর বাগান সংলগ্ন এলাকার ভূগর্ভস্থ জলস্তর এর মাত্রা অনেক নিচে নেমে গিয়ে ওই এলাকায় পানীয় জলের মারাত্মক অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভবনা খুবই প্রবল। এছাড়াও পাম (তেল) চাষ এর প্রক্রিয়া সূম্পর্ণরূপে জৈবিক নয়, এই চাষ এর জন্য রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক এর ব্যবহার প্রয়োজনীয়। তাই আন্দামান ও সংলগ্ন দ্বীপপুঞ্জ এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পাম (তেল) এর মতো উচ্চ উৎপাদনশীল এবং লাভজনক তৈল্য ফসল চাষ এর সম্প্রসারণের এর ফলে কেবলমাত্র ওই সমস্ত জৈববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকার উদ্ভিদ এবং প্রাণীকুলের আবাস্থলের সমস্যা ছাড়াও, ওই সমস্ত এলাকার প্রকৃতিগত চরিত্র পরিবর্তনের ফলে পানীয় জল সংকট, মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি, এবং মাটির ও জল দূষণের পরিমান উল্লেখজনক ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
পাম (তেল) এর চাষ যে শুধুমাত্র আমাদের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণী এবং সংলগ্ন এলাকার মানবসমাজ এর জীবনধারণের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যেটা এই চাষ এর একটা উদ্বেগের বিষয়। প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত প্রভাব ছাড়াও এই চাষ এর একটা সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক অর্থনেতিক প্রভাবও আছে। পাম (তেল) এর চাষ যে শুধুমাত্র আমাদের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণী এবং সংলগ্ন এলাকার মানবসমাজ এর জীবনধারণের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যেটা এই চাষ এর একটা উদ্বেগের বিষয়। প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত প্রভাব ছাড়াও এই চাষ এর একটা সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক অর্থনেতিক প্রভাবও আছে।
ভারতের মতো অর্থনীতির জন্য, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল এবং আমাদের দেশের কৃষকরা মূলত এক এর অধিক ফসলের ভিত্তিতেই জীবিকা অর্জন করেন।
সেখানে পাম(তেল)চাষ এর মতো দীর্ঘ সময় এর ফসল চাষ ( প্রথম ফসলের জন্য কমপক্ষে ৫- ৭ বছর প্রয়োজন) এবং তারপরেও ফসল যে ভালো হবে তার অনিশ্চয়তা, এই ফসল চাষ এর অর্থনৈতিক সার্থকতার প্রশ্নও তুলে দিয়েছে।
পাম চাষের সম্প্রসারণ এর জন্য বনভূমি পরিষ্কার করে চাষযোগ্য জমিতে রূপান্তর এর ফলে ওই জঙ্গলে বসবাসকারী উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাস এর জায়গা ক্রমশ কমে যাচ্ছে এবং ওই সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীর অবলুপ্তির সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি যে দেশগুলিতে সর্বাধিক পাম চাষ এর বাগান অবস্থিত, সেই দেশগুলিওর কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার দিকে চোখ রাখলে বোঝা যায়, পরিবেশ, বন্যপ্রাণী এবং সংলগ্ন এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার উপর পাম চাষের একটা সুদূরপ্রসারী ক্ষতিক্ষরক প্রভাব রয়েছে।
- আমরা যদি মালয়েশিয়ার উদাহরণ নিই, দেখতে পাবো ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে, মালয়েশিয়ায় পাম তেল চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমি ২.৪ মিলিয়ন হেক্টর থেকে ৪.২ মিলিয়ন হেক্টরেবৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই ১.১ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি মালয়েশিয়ার মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে।
- ২০১৮ সালে একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণায় দেখা গেছে যে ১৯৯৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ১০০০০০ এরও বেশি বোর্নিয়ান ওরাংওটাং হারিয়ে গেছে বনভূমি অবলুপ্তির কারণে।
- বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানী উমেশ শ্রীনিবাসনের লেখা ” ‘Oil Palm Expansion: Ecological Threat to Northeast India’ থেকে জানা যায় যে অরুণাচল প্রদেশে বাগুন লিওসিচলা নামক একটি পাখির প্রজাতি প্রায় বিলুপ্তির পথে।
- পাম চাষ এর জমি সম্পসারসারণের জন্য বনভূমি পুড়িয়ে দেওয়া হল একটি প্রচলিত প্রথা। পাম (তেল) চাষ এর পরিবেশের উপর প্রভাব সংক্রান্ত বেশ কিছু রিসার্চ সূত্রে জানা যায় যে, বনভূমি কে পাম চাষযোগ্য ভূমিতে রূপান্তরিত করতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং পাপুয়া নিউগিনি এর মতো দেশগুলিতে ১৯৯০ থেকে ২০১০ এর মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গমন বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাম (তেল) চাষ এর সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করলে আমরা বুঝতে পারি যে বহুবিধ ব্যবহার উপযোগী এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ্য ভোজ্য তেল এর চেয়ে সস্তা হলেও এই তেল উৎপাদন এর সাথে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষ্য এবং অন্যান্য প্রাণিজগতে এর উপর বেশকিছু বিরূপ সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।
আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার ভোজ্য তেল এ আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য পাম তেলের চাষ বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা করেছেন, তার সফলতার জন্য আমাদের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ যেমন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার কাছ থেকে যথাসম্ভব শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে যাতে করে আমরা আর্থ-সামাজিক এবং পরিবেশগত সুদূরপ্রসারী প্রভাব যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।